
ক্রিপ্টো মার্কেটিং-এ Buy, Sell, Exchange—এই শব্দগুলো খুবই পরিচিত। এখন আপনি চাইলে ক্রিপ্টো কয়েনকে ভিত্তি করে
একটি Buy–Sell ট্রেডিং ভিত্তিক এমএলএম প্ল্যাটফর্মও প্ল্যান করতে পারেন। ক্রিপ্টো ভিত্তিক ট্রেডিং প্ল্যানে সাধারণত একটি
ভার্চুয়াল ওয়ালেট ভ্যালু ধরে পুরো সিস্টেমটি কাজ করে।
অনেক কোম্পানি এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে কাজ করে—তারা মূলত মানুষকে ইনভেস্ট করতে বা ওয়ালেটে ফান্ড রাখতে উৎসাহিত করে।
ওয়ালেটে যোগ করা ফান্ড দিয়ে নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো কয়েন কেনা যায়। পরবর্তীতে সেই কয়েনের দাম বাড়লে সদস্য চাইলে সেটি বিক্রি করে
লাভ তুলতে পারে। একইভাবে একাধিক ক্রিপ্টো কয়েনের সাথে ট্রেড করা যায়, নিয়মিত কেনা–বেচার মাধ্যমে সম্ভাব্য ইনভেস্টমেন্ট
রিটার্ন বাড়ানো সম্ভব হয় (ঝুঁকি সব সময়ই থেকে যায়)।
কোনো সদস্য যদি তার ওয়ালেটের টাকা তুলতে চায়, সাধারণত কোম্পানিকে উইথড্র রিকুয়েস্ট পাঠায়, এবং কোম্পানি তাদের নীতিমালা অনুযায়ী
বিটকয়েন ব্লকচেইন, অন্য ক্রিপ্টো ওয়ালেট বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা প্রদান করতে পারে। সবকিছুই কোম্পানির নিয়ম, শর্ত
এবং দেশের নিয়ন্ত্রণনীতি অনুযায়ী নির্ধারিত হওয়া জরুরি।

ক্রিপ্টো ভিত্তিক প্ল্যান সাধারণত একটি ভার্চুয়াল ওয়ালেট বা ভার্চুয়াল কয়েন (যেমন Bitcoin, Ethereum ইত্যাদি)
কে ঘিরে কাজ করে। প্ল্যানের মালিকের নিজস্ব ক্রিপ্টো ওয়ালেট বা সম্পদ থাকতে হয়, সেই ভিত্তিতে তিনি ব্যবসার কাঠামো দাঁড় করান
এবং অন্যদের ইনভেস্ট করতে আহ্বান করেন।
তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য যেকোনো সময় দ্রুত কমে বা বাড়তে পারে। তাই কখনো এটি অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে,
আবার কখনো বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। ব্যবসা শুরু করার আগে পূর্বের মার্কেট ডাটা, চার্ট, ইতিহাস এবং রিস্ক ফ্যাক্টর
ভালভাবে বিশ্লেষণ করা খুবই জরুরি।
একজন প্ল্যান ওনারের উচিত সদস্যদের জন্য এমন প্রফিট স্ট্রাকচার নির্ধারণ করা, যা বাস্তবসম্মত এবং অযথা অবাস্তব উচ্চ রিটার্নের
প্রলোভন দেয় না—যাতে প্ল্যান প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করলেও তিনি বা তার ইনভেস্টর কেউই মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে না পড়েন।
সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছ নিয়ম এবং আইনগত কাঠামো মেনে চললেই কেবল ক্রিপ্টো ভিত্তিক যেকোনো প্ল্যান নিয়ে সামনে এগোনো উচিত।