Safe Transfer

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তা হলে এটি একটি বৈধ ও পেশাদার ব্যবসায়িক মডেল। মূল বিষয় হচ্ছে– গ্রাহকের প্রয়োজনীয় ও মানসম্মত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ন্যায্য মূল্যে সরবরাহ করা।

আধুনিক এমএলএম কোম্পানিগুলো সাধারণত প্রত্যেক ডিস্ট্রিবিউটরের জন্য একটি e-wallet ও ব্র্যান্ডেড ডেবিট কার্ড সুবিধা দেয়। কোম্পানি তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি ডিস্ট্রিবিউটরের e-wallet এ কমিশন পাঠাতে পারে, প্রয়োজনে সেই e-wallet থেকেই কার্ডে বা ব্যাংকে ট্রান্সফার করা যায় – ফলে টাকা দেওয়া-নেওয়া হয় দ্রুত, নিরাপদ ও ডকুমেন্টেড উপায়ে।

এই পদ্ধতিতে পেআউট করা সুবিধাজনক, ফ্লেক্সিবল এবং কোম্পানি ও ডিস্ট্রিবিউটর – দুই পক্ষের জন্যই বেনিফিট নিয়ে আসে। অনেক আন্তর্জাতিক পেআউট ভেন্ডর যেমন PayQuicker, Hyperwallet, Payout, Propay, Paynear ইত্যাদির সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করা যায়।

আপনার MLM সফটওয়্যার যদি এসব ভেন্ডরের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড থাকে, তবে আপনি ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য কোম্পানির নামে ব্র্যান্ডেড ডেবিট কার্ড ইস্যু করতে পারেন। প্রতিবার যখন তারা এই কার্ড ব্যবহার করবে, কার্ডের গায়ে থাকা আপনার কোম্পানির নাম আপনার ব্র্যান্ডকে বাড়তি প্রমোশন দেবে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা অফশোর ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার নিয়ে অনেক সময় অপব্যবহারের ঝুঁকিও থাকে – নিচে একটি সাধারণ ফ্রড প্যাটার্ন উদাহরণ হিসেবে দেখানো হলো, যাতে আপনি সচেতন থাকতে পারেন:
  • কিছু ব্যক্তি অস্বাভাবিক উচ্চ রিটার্নের লোভ দেখিয়ে ভুয়া বা ঝুঁকিপূর্ণ multi-level marketing / ইনভেস্টমেন্ট স্কিম চালু করে।
  • ইনভেস্টররা সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক একাউন্টে ক্যাশ বা চেক জমা দেয়, বদলে তাদেরকে ভবিষ্যৎ তারিখের চেক বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
  • প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে এই টাকা প্রমোটারদের ব্যক্তিগত একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়।
  • পরবর্তীতে প্রমোটাররা সেই টাকা ট্যাক্স হেভেন ধরনের দেশে অফশোর ব্যাংক একাউন্টে wire transfer করে, আবার সেখান থেকে অন্য অফশোর একাউন্টে পাঠিয়ে প্রকৃত উৎসের ট্রেইল আরও জটিল করে তোলে।
  • অবশেষে অফশোর ব্যাংক একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে, যা দিয়ে প্রমোটার পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় খরচ/উত্তোলন করতে পারে – ফলে আসল অর্থের উৎস ট্র্যাক করা কঠিন হয়ে যায়।


ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য ডেবিট কার্ড ও e-wallet এর সুবিধা:

ডেবিট কার্ড ও e-wallet ভিত্তিক পেআউট সিস্টেম ব্যবহার করলে আপনার ডিস্ট্রিবিউটররা:

– সহজেই তাদের কার্ড বা e-wallet থেকে অন্য ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারে।
ACH (Automated Clearing House) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংক-টু-ব্যাংক ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করতে পারে, যেখানে কাগুজে চেক, ওয়্যার ট্রান্সফার বা কার্ড নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হয় না।
– কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কেনার জন্য সরাসরি e-wallet / ডেবিট কার্ড থেকে পেমেন্ট করতে পারে, যাকে অনেক সময় ‘spin back’ বা re-purchase payment বলা হয়।
– তাদের e-wallet অ্যাকাউন্ট থেকে auto-ship, মাসিক সাবস্ক্রিপশন বা পুনরাবৃত্ত বিলের জন্য recurring billing সেটআপ করতে পারে, ফলে পেমেন্ট মিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।