হাইব্রিড MLM প্ল্যান হলো এমন একটি কনফিগারেশন যেখানে একাধিক কম্পেনসেশন রুল একসাথে কাজ করে—যাতে নেটওয়ার্ক গঠন দ্রুত হয় এবং আয়ের ধারা দীর্ঘমেয়াদি থাকে। বাস্তবে সবচেয়ে ব্যবহৃত সেটআপ হলো বাইনারির দুই লেগ ভিত্তিক কাঠামো (Left/Right) এবং সাথে লেভেল/জেনারেশন ভিত্তিক আয় কাঠামো। ফলে একই ব্যবসায় “টিম গঠন” এবং “টিম ধরে রাখা”—দুইটাই ব্যালেন্স হয়।
Binary Legs Level / Generation Matching Bonus Rank Rewards Carry Forward Capping Controlসদস্য যোগদান করে এবং স্পনসর লিংক/রেফারেল অনুযায়ী নতুন সদস্য যুক্ত হয়। স্পনসরিং অংশে Unlimited Direct থাকতে পারে, যাতে টিম দ্রুত প্রসারিত হয়।
প্লেসমেন্ট অংশে সদস্য Left/Right লেগে বসে (Manual বা Auto Placement)। সুষম ভলিউম তৈরি হলে দ্রুত Pair/Matching হিসাব শুরু হয়।
প্যাকেজ/সেলস/অ্যাক্টিভিটি থেকে BV/PV/Point তৈরি হয়। অতিরিক্ত ভলিউম নষ্ট না করে ভবিষ্যৎ Pair/স্ল্যাবের জন্য Carry Forward রাখা যায়।
একই সাথে Matching, Level/Generation, Rank Rewards, Pool/Leadership Incentive—এসব আয় এক প্ল্যাটফর্মে ক্যালকুলেট হয়। কোম্পানির নীতিমালায় যে অংশগুলো অন থাকবে সেটাই কনফিগারেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
হাইব্রিড সেটআপের বড় সুবিধা হলো—নতুন সদস্য দ্রুত কাঠামো দেখে কাজ শুরু করতে পারে, আবার অভিজ্ঞ লিডাররা লেভেল/জেনারেশন আয়ের কারণে দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকে।
বাংলাদেশে অনেক নেটওয়ার্কে নতুন সদস্য দ্রুত যোগ হয়—কিন্তু লিডারদের ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। হাইব্রিড প্ল্যানে বাইনারির সহজ কাঠামো দিয়ে দ্রুত স্ট্রাকচার দাঁড় করানো যায়, আবার লেভেল/জেনারেশন ইনকাম এবং র্যাঙ্ক রিওয়ার্ড দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে মেম্বার এনগেজমেন্ট বজায় থাকে।
E-commerce, Subscription, Training, Digital Services, Health & Wellness—এ ধরনের ব্যবসায় হাইব্রিড সেটআপ বিশেষভাবে কার্যকর, কারণ ভলিউম নিয়মিত তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।
১) সরাসরি স্পনসর আয়
সরাসরি রেফার/স্পনসর করা সদস্যের অ্যাক্টিভেশন বা প্যাকেজ/সেলস অ্যাক্টিভিটি থেকে নির্দিষ্ট কমিশন।
২) লেগভিত্তিক ম্যাচিং আয়
Left ও Right লেগে নির্দিষ্ট ভলিউম ব্যালান্স হলে Matching/Pairs তৈরি হয়। Carry Forward ও Capping নীতিমালা অনুযায়ী সেট করা যায়।
৩) লেভেল/জেনারেশন আয়
স্পনসর ট্রি অনুযায়ী ১ম লেভেল, ২য় লেভেল ইত্যাদিতে টিমের ভলিউম থেকে আয়। এটি রেসিডুয়াল আয়ের ভিত্তি তৈরি করে।
৪) র্যাঙ্ক ও লিডারশিপ রিওয়ার্ড
নির্দিষ্ট টার্গেট/ভলিউম/স্ট্রাকচার পূর্ণ হলে র্যাঙ্ক বোনাস, লিডারশিপ ইনসেনটিভ, পুল/ক্লাব রিওয়ার্ড যুক্ত করা যায়।
৫) প্রমোশনাল রুলস
ক্যাম্পেইন বোনাস, টাইম-বেইজড ইনসেনটিভ, অটো আপগ্রেড বা বিশেষ রিওয়ার্ড—ব্যবসার লক্ষ্য অনুযায়ী যোগ করা যায়।
হাইব্রিড প্ল্যানে মূল চ্যালেঞ্জ হলো একাধিক রুল একসাথে চলার কারণে হিসাবের স্বচ্ছতা বজায় রাখা। আমরা ড্যাশবোর্ড রিপোর্ট, রিয়েল-টাইম জিনিওলজি, ইনকাম ব্রেকডাউন, ট্রানজ্যাকশন লগ এবং অ্যাডমিন কনফিগারেশন এমনভাবে তৈরি করি—যাতে আপনার টিম এবং ফাইন্যান্স অংশ দুটোই পরিষ্কারভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী Matching Policy, Level Depth, Capping, Carry Forward, Rank Rules, Pool Logic— সবকিছু কাস্টমাইজ করার সুবিধা থাকবে। ফলে একই সফটওয়্যার দিয়ে ভবিষ্যতে নতুন অফার/রিওয়ার্ড যোগ করাও সহজ হয়।